জিম্বাবুয়ে বনাম পাকিস্তান: ২০২৪ সালে পাকিস্তানের জিম্বাবুয়ে সফরের প্রথম টি-২০ ম্যাচ শুরু হচ্ছে।
২০২৪ সালের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে একটি বহুল প্রত্যাশিত সিরিজ শুরু হতে যাচ্ছে—পাকিস্তানের জিম্বাবুয়ে সফর। ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষা করছিলেন এই ম্যাচটির জন্য, কারণ দুই দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। প্রথম টি-২০ ম্যাচটি হারারেতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দর্শকদের উচ্ছ্বাস এবং উত্তেজনা আকাশচুম্বী।
পাকিস্তান দল আত্মবিশ্বাসী মনোভাব নিয়ে সফরে এসেছে। সম্প্রতি এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে তারা বেশ চাঙ্গা। বাবর আজমের নেতৃত্বে দলটি মাঠে নামছে। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ে দল হোমগ্রাউন্ডে খেলতে প্রস্তুত, এবং তারা স্বাগতিক হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিতে চায়। তাদের দলে রয়েছে কিছু উদীয়মান তারকা, যারা এই সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে আছে।
ম্যাচের আগে হারারেতে শুরু হয়েছিল প্রবল বৃষ্টি, কিন্তু ভাগ্যক্রমে ম্যাচের সময় আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যায়। টসের জন্য মাঠে আসেন বাবর আজম ও জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টসে জিতে জিম্বাবুয়ে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ পিচে সামান্য আর্দ্রতা ছিল, যা বোলারদের সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
পাকিস্তান ইনিংস শুরু করে তাদের দুই বিধ্বংসী ওপেনার ফখর জামান এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাত ধরে। জিম্বাবুয়ের বোলাররা শুরুতেই কয়েকটি টাইট ওভার করে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করে, কিন্তু ফখর জামান তা ভেঙে দেন। তিনি একের পর এক চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের বোলারদের পথভ্রষ্ট করেন।
মাঝের ওভারে রিজওয়ান ও বাবরের মিতব্যয়ী ব্যাটিংয়ে রান রেট কিছুটা কমে যায়। তবে শেষ ৫ ওভারে ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের ব্যাটে ঝড় উঠে। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া ও ক্রেইগ আরভিন প্রথম কয়েক ওভারে দারুণ শট খেলে পাকিস্তানের বোলারদের চাপে রাখেন। শাহীন আফ্রিদি প্রথম ওভারে বেশ কিছু সুইং দিয়ে জিম্বাবুয়েকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু আরভিন তার অভিজ্ঞতার জোরে সুন্দর প্রতিরোধ গড়েন।
জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার, বিশেষ করে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও শান উইলিয়ামস, ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখেন। রাজা একদিকে নিয়মিত বাউন্ডারি মারছিলেন, অন্যদিকে উইলিয়ামস স্ট্রাইক রোটেট করে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন।
তবে ম্যাচটি মোড় নেয় পাকিস্তানের স্পিনার উসমান কাদিরের জাদুকরী বোলিংয়ে। এক ওভারে তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেন। শেষদিকে জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডার যতটা লড়াই করেছিল, তারা ২০ ওভারে ১৭৫ রানে থেমে যায়।
১০ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান জয়ী হয়, এবং বাবর আজম ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "জিম্বাবুয়ে খুব ভালো লড়াই করেছে। তাদের ক্রিকেট যথেষ্ট উন্নতি করছে, এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য ভালো সংকেত।"
অন্যদিকে, সিকান্দার রাজা প্রতিশ্রুতি দেন যে পরবর্তী ম্যাচে তারা আরও ভালো পারফর্ম করবে।
এই প্রথম ম্যাচটি একটি নিখুঁত প্রতিযোগিতার উদাহরণ হয়ে রইল, এবং সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো নিয়ে ভক্তদের উত্তেজনা এখন দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
0 Comments